সর্বশেষ

আ'লীগে শীর্ষ নেতৃত্বের স্থান হয়নি ছাত্রলীগের

/ নেতৃত্বে আসার পর প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়ানোয় এমন দশা /

প্রকাশ :


২৪খবরবিডি: 'দীর্ঘ প্রায় তিন দশকের খরা চলছে ছাত্রলীগে। এই সময়ে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কারোরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে স্থান হয়নি।' আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের সময় ঘনিয়ে আসায় এ নিয়ে দলীয় ঘরানার রাজনীতিতে নানামুখী আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে।

তবে এবারের জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের কয়েকজন সাবেক শীর্ষ নেতাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে আনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে বর্তমান কার্যনির্বাহী সংসদে থাকা ছাত্রলীগের কয়েকজন সাবেক নেতা আরও বড় দায়িত্বে যেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

 

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা ২৪খবরবিডিকে জানিয়েছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে ও পরে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগ। পরবর্তী সময়ে এই সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে তাঁদের অনেকেরই স্থান হয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে। কিন্তু তিন দশক ধরে নতুন নেতা নির্বাচনের বেলায় এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকেনি। 'নব্বই দশকের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৬ জন ছাত্রনেতা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, বাহাদুর বেপারী, লিয়াকত সিকদার, মাহমুদ হাসান রিপন, এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাইফুর রহমান সোহাগ ও রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন ইকবালুর রহিম, ইসহাক আলী খান পান্না, অজয় কর খোকন, নজরুল ইসলাম বাবু, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সিদ্দিকী নাজমুল আলম, এস এম জাকির হোসাইন ও গোলাম রাব্বানী।'


-ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতাদের মধ্যে সাত নেতা আওয়ামী লীগে বিভিন্ন পদ-পদবি পেয়েছেন। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, হুইপ ইকবালুর রহিম এবং নজরুল ইসলাম বাবু বর্তমান সংসদের এমপি। গোলাম রাব্বানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস)। অবশ্য শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন। মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেলেও জয় পাননি। আবার সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেয়েও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ইসহাক আলী খান পান্না। শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে মনোনয়ন পেলেও জয় পাননি। ছাত্রলীগের সাবেক অন্য ৯ শীর্ষ নেতা আওয়ামী লীগ কিংবা সরকারের কোথাও কোনো ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবি পাননি।

-ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে শুধু এ কে এম এনামুল হক শামীম আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের গত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) সাবেক সহসভাপতি (ভিপি)। অন্য ১৫ নেতার কেউই গত তিন দশকে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের কোনো কমিটিতেই স্থান পাননি। এই খরা কবে কাটবে- তা এ মুহূর্তে বলা মুশকিল বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। 'আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ অবশ্য বেশ আশাবাদী। তিনি ২৪খবরবিডিকে বলেছেন, দলের প্রতিটি জাতীয় সম্মেলনেই অভিজ্ঞ প্রবীণের পাশাপাশি তারুণ্যের যোগ্যতা ও মেধার সন্নিবেশ ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমেও আওয়ামী লীগে নতুন মুখ আসবে। সে ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনেকেরই দলের কার্যনির্বাহী সংসদে আসার সম্ভাবনা থাকবে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য তাদের আওয়ামী লীগের মূল কাঠামোতে সম্পৃক্ত করাটাই স্বাভাবিক।'

 

'এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, অনেকেই ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আসার পর প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়ায় বেহাল পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। ফলে তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে সম্পৃক্ত হতে পারছে না। অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক আরও বলেছেন, অর্থ ও প্রভাব বিস্তার করে অনেকেই কৌশলে শীর্ষ নেতা বনে যাচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে কমিটি নিয়ে বাণিজ্য করার পাশাপাশি ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষার চিন্তা কাজ করে। এসব কারণে শীর্ষ নেতাদের বহিস্কারের মতো অপ্রিয় ঘটনাও ঘটেছে। ফলে পরে তাদের পক্ষে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে আসা সম্ভব হচ্ছে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদের প্রশ্ন, ইমেজবিহীন নেতারা শক্ত লবিংয়ে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা হওয়ার পর রাতারাতি গাড়ি-বাড়ি ও অর্থবিত্তের মালিক হলে আওয়ামী লীগ কেন পরে তাদের মূল্যায়ন করবে? তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হেনস্তাসহ বিভিন্ন সময়ে নানা স্থানে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের কেউ কেউ। রাজনৈতিকভাবে তারা পদস্খলনের ঘটনাও ঘটিয়েছে। অথচ এই ছাত্রলীগই স্বাধীনতা-সংগ্রামে কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। এখন ছাত্রলীগের চরিত্র বদলে যাওয়ায় আওয়ামী লীগে তাদের মূল্যায়ন হচ্ছে না।-ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে শুধু এ কে এম এনামুল হক শামীম আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের গত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) সাবেক সহসভাপতি (ভিপি)। অন্য ১৫ নেতার কেউই গত তিন দশকে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের কোনো কমিটিতেই স্থান পাননি। এই খরা কবে কাটবে- তা এ মুহূর্তে বলা মুশকিল বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। 'আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ অবশ্য বেশ আশাবাদী। তিনি ২৪খবরবিডিকে বলেছেন, দলের প্রতিটি জাতীয় সম্মেলনেই অভিজ্ঞ প্রবীণের পাশাপাশি তারুণ্যের যোগ্যতা ও মেধার সন্নিবেশ ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমেও আওয়ামী লীগে নতুন মুখ আসবে। সে ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনেকেরই দলের কার্যনির্বাহী সংসদে আসার সম্ভাবনা থাকবে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য তাদের আওয়ামী লীগের মূল কাঠামোতে সম্পৃক্ত করাটাই স্বাভাবিক।


-এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, অনেকেই ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আসার পর প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়ায় বেহাল পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। ফলে তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে সম্পৃক্ত হতে পারছে না। অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক আরও বলেছেন, অর্থ ও প্রভাব বিস্তার করে অনেকেই কৌশলে শীর্ষ নেতা বনে যাচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে কমিটি নিয়ে বাণিজ্য করার পাশাপাশি ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষার চিন্তা কাজ করে। এসব কারণে শীর্ষ নেতাদের বহিস্কারের মতো অপ্রিয় ঘটনাও ঘটেছে। ফলে পরে তাদের পক্ষে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে আসা সম্ভব হচ্ছে না।

আ'লীগে শীর্ষ নেতৃত্বের স্থান হয়নি ছাত্রলীগের

-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদের প্রশ্ন, ইমেজবিহীন নেতারা শক্ত লবিংয়ে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা হওয়ার পর রাতারাতি গাড়ি-বাড়ি ও অর্থবিত্তের মালিক হলে আওয়ামী লীগ কেন পরে তাদের মূল্যায়ন করবে? তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হেনস্তাসহ বিভিন্ন সময়ে নানা স্থানে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের কেউ কেউ। রাজনৈতিকভাবে তারা পদস্খলনের ঘটনাও ঘটিয়েছে। অথচ এই ছাত্রলীগই স্বাধীনতা-সংগ্রামে কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। এখন ছাত্রলীগের চরিত্র বদলে যাওয়ায় আওয়ামী লীগে তাদের মূল্যায়ন হচ্ছে না।

'ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে এযাবৎকালে মাত্র পাঁচজন আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের বর্তমান কার্যনির্বাহী সংসদে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। অন্যরা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। তাঁরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর দুই সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি। আলোচিত এই পাঁচ নেতার মধ্যে অনেকেরই আগামীতে পদোন্নতি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত